HNExpress ওয়েব ডেস্ক : দেশের প্রথম সারির আবাসন সংস্থা ইমামি রিয়ালটি কলকাতায় তাদের দুটি নতুন প্রিমিয়াম প্রকল্পের সূচনার কথা ঘোষণা করেছে।এর মধ্যে একটি বাণিজ্যিক প্রকল্প -সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এ অবস্থিত ইমামি বিজনেস বে, অন্যটি কলকাতার জোকার কাছে ভাসাতে অবস্থিত বাংলো টাউনশিপ ইমামি আস্থা। সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সমন্বিত এই উভয় প্রকল্পই কলকাতার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লব্ধপ্রতিষ্ঠ স্থানে অবস্থিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমামি রিয়ালটি গোষ্ঠীর এমডি তথা সিইও ডক্টর নিতেশ কুমার বলেন, “ইমামি রিয়ালটি কলকাতার দুটি প্রিমিয়াম প্রকল্পের সূচনা করেছে। এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে ইমামি রিয়ালটি কলকাতার মানুষকে নতুন এক অনন্য স্থাপত্য ও নির্মাণকৌশল উপহার দিতে চায়। যেখানে জোকার কাছে সবুজে ঢাকা ভাসায় ইমামি আস্থা বাংলো টাউনশিপ এখানকার বাসিন্দাদের শহরের সমস্ত সুযোগ সুবিধার সঙ্গে যুক্ত থেকে অনির্বচনীয় শান্তির পরিবেশে বসবাসের সুযোগ করে দেবে। অন্যদিকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক প্রকল্প ইমামি বিজনেস বে প্রত্যেক পেশাদারের পছন্দের ব্যাবসায়িক ঠিকানা হয়ে উঠতে চলেছে। কলকাতা শহরের মানচিত্র এই মূল্যবান দুটি ঠিকানা যুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি।“
একনজরে ইমামি আস্থা:-
আরবান ফরেস্ট থিমের ওপরে প্রায় ৪০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা ইমামি আস্থা, ঘন সবুজে ভরা, সুন্দর বাগান বিশিষ্ট গাছের ছায়ায় ঢাকা পথের ধারে অবস্থিত, যা শহরের সীমানার মধ্যে থেকেও কলকাতার চেনা ভিড় থেকে দূরে। এই প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। আস্থা প্রকল্পে বিক্রির জন্য মোট ৪২৩ টি অত্যাধুনিক বাংলো রয়েছে। প্রথম পর্বে যে প্লটগুলো বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে তার আয়তন ২ থেকে ২.৪৬ কাঠা।
ইমামি আস্থা ছেয়ে রয়েছে বড় বড় গাছের ছায়ায় ঘেরা সবুজে মোরা প্রান্তরে। রাজকীয় প্রবেশ পথ থেকে গাড়ি চালিয়ে প্রবেশের পর প্রকৃতির মধ্যে দিয়ে হেঁটে আসার অনুভূতি ক্রেতাদের অনির্বচনীয় মানসিক শান্তির অনুভূতি যোগাবে। বহুল প্রশংসিত স্বনামধন্য স্থপতি শ্রী সঞ্জয় পুরীর পরিকল্পিত ইমামি আস্থা তার বাসিন্দাদের শুধুমাত্র নাগরিক জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেবে তাই নয়, মুক্ত ব্যায়ামাগার, বাতানুকূল জিম, জগিং পথ, সবুজে ঢাকা মাছ এবং পাখিদের খাওয়াবার জায়গা, যোগ ডেক, সাইকেলিং ট্র্যাক সহ ভাসমান ক্যাফে, সুগন্ধি ফুল এবং বোগেনভেলিয়ার বাগান, স্কেটিং রিঙ্ক, রক ক্লাইম্বিং ওয়াল, স্যান্ড পিট, ক্লাব, মন্দির ,জলাশয় ,শিশুদের খেলার জায়গা ,প্রবীনদের উদ্যান, পোষ্যদের রিলিফ এরিয়া সহ বহু কিছু..সমস্ত কিছুর সবুজে সবুজ আবহ মনকে চাঙ্গা করে তুলবে।
জোকার এই ভাসা এলাকা দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হিসেবে দ্রুত উঠে আসছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর অবস্থিত জোকা হাওড়া এবং শিয়ালদার রেলওয়ে নেটওয়ার্ক, দমদম বিমানবন্দর, প্রধান জাতীয় সড়ক এবং কলকাতার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র গুলির সঙ্গে সুসংযুক্ত এই এলাকা। ডায়মন্ড হারবার রোডের সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং জোকা- বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্প আগামী দিনে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলবে।
এক নজরে ইমামি বিজনেস বে:-
কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি হাব সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কেন্দ্রস্থলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত ১ একরের বেশি জমিতে গড়ে ওঠা ইমামি বিজনেস বে- তে রয়েছে ব্যবহারকারীদের সব রকম চাহিদা পূরণের উপযোগী অত্যাধুনিক অফিস, খুচরো ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক স্থান সমুহ। ইমামি বিজনেস বে-তে রয়েছে ১৫ তলার মডুলার অফিস যা ছোট দফতরের চাহিদা পূরণ করবে, পাশাপাশি চার মিটার উচ্চতা থেকে উপভোগ করা যাবে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা কলকাতার জলাভূমির সৌন্দর্য। কলকাতায় এ্যালমুনিয়াম ফিনস নির্মিত এ ধরনের বহুতল এই প্রথম তৈরি হল যা শুধুমাত্র তাপ নিরোধক নয় নজরকাড়া উচ্চতা সৃষ্টি করেছে।
১৫ তল বিশিষ্ট অনন্য এই ইমামি বিজনেস বে আলো বাতাস বিশিষ্ট এক অনন্য অনুভূতি দেবে,যেখানে থাকছে কাঁচে ঢাকা বড়সর জানালা,লিফট, চওড়া করিডোর ও পূর্ণ আয়তনের অলিন্দ সমূহ।ফাইবার এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্বারা সাজানো প্রবেশ পথ পাঁচ তারা অনুভূতি এনে দেয়, পাশাপাশি রয়েছে বড়সর অতিথিদের অপেক্ষা করার জায়গা। রেস্তোরাঁ, কফিশপ,খুচরা দোকান ইত্যাদি এখানকার ভাড়াটিয়াদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেলাধুলো, কেনাকাটা, আড্ডা দেওয়ার সুযোগ করে দেবে। ছাদের ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার জায়গা, উন্মুক্ত ব্যায়ামাগার এবং ক্যাফে সহজেই ক্লান্তি দূর করবে এবং খুশি মনে কাজ করার সুযোগ দেবে কর্মীদের।১৮০ টি অফিস, ২ টি রেস্তোরাঁ, ২ টি সম্মেলন কক্ষ, কফি শপ – সবকিছু পরিকল্পিতভাবে, বাস্তু মেনে এবং ব্যবহারকারীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। বাড়তি হিসাবে যুক্ত রয়েছে ২০৫ টি গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা।