HNExpress ওয়েব ডেস্ক : বুধবার, নির্ধারিত সময় মতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর মঞ্চে উঠেই তুমুল হর্ষধ্বনি জাগিয়ে সোল্লাসে তিনি বলেন, ‘জয় সিয়া রাম’। বুধবার তিন ঘণ্টার অযোধ্যা সফরে রামমন্দিরের ভূমিপুজো সহ বাকি সব কর্মসূচিতেই অংশ নেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিন পূর্ব নির্ধারিত সময়েই লখনউ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লখনউ থেকে হেলিকপ্টারে করে গন্তব্যস্থল অযোধ্যায় পৌঁছন। সেখানে তাঁকে নিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে রওনা দেন সরযূ নদীর তীরে অবস্থিত হনুমানগড়ি মন্দিরের উদ্দেশ্যে। হনুমানগড়ি মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রূপোর মুকুট এবং উত্তরীও পড়িয়ে মোদিকে অভ্যর্থনা জানালেন হনুমানগড়ি মন্দিরের মহারাজ।
সেখানেও মোদীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হনুমান মন্দিরের পুজো সেরে রওনা দেন মূল অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে। সেখানে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের আগে পারিজাত গাছ রোপণ মোদি।
এরপর ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী। এই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। এছাড়া সারা ভারত থেকে ১৭৫ জন অতিথিও ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন ভূমিপুজো অনুষ্ঠানে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে নয়টি রূপোয় ইট রাখা হয়েছে। এই ইটগুলি ১৯৮৯ সাল থেকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে রামভক্তরা পাঠিয়েছেন। মোট সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার। এগুলির মধ্যে আবার ১০০ টি ইটে রামের নাম খোঁদাই করা।
ভূমি পুজো সম্পন্ন করে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে পুজো শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের ফলকও উন্মোচন করেন। সেই সঙ্গে রাম জন্মভূমি মন্দিরে একটি স্মরণীয় ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন। এরপর জয় সিয়া রাম ধ্বনি দিয়ে বক্তব্য শুরু করলেন মোদী। তিনি বলেন, “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্র নির্মাণের পদক্ষেপ। আজ জয় শ্রী রামের ধ্বনি শুধু অযোধ্যা নয়, গোটা বিশ্বে শোনা যাচ্ছে।
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মতোই রাম মন্দিরের জন্য কয়েক শতাব্দী ধরে অনেকে আন্দোলন করেছেন। আজ তারই ফল পেয়েছি আমরা। যাঁদের ত্যাগ ও বলিদানের জন্য আজ রাম মন্দিরের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে, এ ১২০ কোটি দেশবাসীর তরফ থেকে তাঁদের প্রণাম জানাই। এখানে আসার আগে আমি হনুমান গড়িতে পুজো দিয়েছি। কারণ রামের সব কাজ তো হনুমানই করেন।তাঁরই আশীর্বাদে এই কাজ করতে পেরেছি আমরা। ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম প্রধান দেশেও রামায়ণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, লাওস, কম্বোডিয়ায় গেলেও রামচন্দ্রের আখ্যান জানা যায়। কবির দাশের রাম থেকে মহাত্মা গাধীর ভজনগুলিতে রামনাম রয়েছে।”