নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ-এর স্লোগানে এবার বাড়তি সংযোজন নয়া স্লোগান “স্লো ড্রাইভ, সেভ লাইফ”। এই স্লোগানও তৈরী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো স্লোগানে অন্তত দশ শতাংশ কমেছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা। তবু বাড়তি নজরের জন্যই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় ঢেকে দেওয়া হবে নয়া স্লোগান। প্রচারে গাড়ি চালক ও মানুষকে পুলিশ বোঝাবে, গাড়ি আস্তে চালান। এছাড়া বড় রাস্তা, মূলত জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলিতে যে ছোট রাস্তা মেশে, সেখানে দশ মিটারের মধ্যে জোড়া স্পীড ব্রেকার বা হাম্প গড়ছে পুলিশ ও পূর্ত দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কোন কোন এলাকায় বেশী দুর্ঘটনা হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে, সব রকম ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় সড়কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলছে পূর্ত দপ্তর। কারন, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এইসব মোড়ের মুখেই সব থেকে বেশী দুর্ঘটনা ঘটছে। ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করে পুলিশ সেই সব জায়গায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। নিযুক্ত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও। রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আওতায় থানার সংখ্যা ৪৫৩টি। কলকাতার সাধারন ৭০টি থানা ধরলে রাজ্যজুড়ে থানার সংখ্যা ৫২৩।
এর মধ্যে ৪০টি থানা এলাকাতেই সবথেকে বেশী দুর্ঘটনা ঘটছে। মোট দুর্ঘটনার ২০ শতাংশ ওই এলাকাতেই হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ সব তথ্যও নিচ্ছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচীর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছমাসের তথ্যেই দেখা যায়, ২০১৫ সালে যেখানে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪২২ জনের। সেখানে ২০১৬ সালে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৪০৭ জন। পথচারীদের মৃত্যুর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১৮ ও ১৯৩। ২০১৭ সালে কমেছে আরও ১০ শতাংশ। তবু মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার ও সচেতনতার মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রবণতা একেবারে নির্মূল করতে চাইছেন।