HNExpress, কুশল বিশ্বাস : সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকদিন ধরেই ঘুরোফেরা করছে- আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোন ধেয়ে আসতে পারে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। তা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়ে অনেকের মনেই। করোনা ফের প্রবল আকার নিচ্ছে, তারপর ভোটের মরশুম।ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক ধীরে ধীরে বড় আকার ধারন করছে কেন? সেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কতগুলি যুক্তি রয়েছে।
১) প্রথমে বলা হচ্ছিল এপ্রিল। তারপরে বলা হচ্ছে মে – জুনেও তা আছড়ে পড়তে পারে এই সাইক্লোন। ঘটনা হল হল মে মাসেই আছড়ে পড়েছিল আম্ফান। হাওয়ায় হাওয়ায় খবরে তাই আতঙ্ক বেড়েছে ২) আম্ফানের খবরও অনেক দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। এক সময় বলেই দেওয়া হয়েছিল মাঝ সমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছে সাইক্লোন। পাট চুকে গিয়েছে ঝড়ের। তারপর মাঝ সমুদ্রে থিতু হয়ে বিশাল শক্তি নিয়ে যা ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল সেই ঝড় তা পশ্চিমবঙ্গবাসীর চেয়ে ভালো কে জানে? ৩) বিগত সপ্তাহ দু’য়ের বেশি সময় ধরে গুমোট হয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। হাওয়া নেই। আম্ফানের আগেও বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এমনটাই হচ্ছিল। পরে বলা হয়, সমুদ্র থেকে সমস্ত হাওয়া শুষে নিচ্ছিল সাইক্লোন। এই বিষয়ে কলকাতার আবহাওয়া দফতরের যুক্তি, এমন সময় এমন আবহাওয়াই নাকি থাকে। গরম বেশি হয়। অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিও হয়। তাই এমন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কী হাল হবে, তা নিয়ে যখন চর্চা চলছে, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এই দুর্যোগের কথা একেবারে অস্বীকার করে বলেছেন আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, তা একেবারেই ঠিক নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরে রটেছিল, “ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসতে পারে ঝড়।” এমনকী এই ঝড়ের নামকরণও করে দেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় টাউকটের কোনও অস্তিত্বই নেই বলে জানালেন আলিপুর আবহাওয়া অধিকর্তা। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই এবার। এপ্রিলের মধ্যেও ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। সেই অর্থে ঘূর্ণিঝড়ের মরশুমে সাময়িক নিস্তার মিলবে এবার !